আজ মঙ্গলবার, ৭ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২১শে মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

আড়াইহাজারে পুলিশ হত্যা মামলার আসামী ধরায় পুলিশ ব্যর্থ , মামলা ডিবিতে

 আড়াইহাজার প্রতিনিধি:- নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজার উপজেলার কালাপাহাড়িয়া গ্রামে ছুটিতে থাকা পুলিশ কনস্টেবল রুবেল মাহমুদ সুমন হত্যার ১১ দিন পার হয়ে গেলেও আসামী গ্রেফতারে থানা পুলিশের ব্যার্থতার কারণে মামলাটি ডিবিতে হস্তান্তর করা হয়েছে। হত্যাকান্ডের পর সন্দেহ ভাজন দুজনকে গ্রেফতার করা হলেও এ যাবত তালিকাভুক্ত কোন আসামীকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। ফলে মামলাটি ডিবিতে হস্তান্তর করা হয়েছে। শনিবার মামলাটি ডিবিতে হস্তান্তর করা হয়েছে বলে আড়াইহাজার থানার ভার প্রাপ্ত কর্মকর্তা এম এ হক জানান।

প্রসঙ্গত, ১ সেপ্টেম্বর সকালে ডিএমপির কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের পুলিশ কনস্টেবল রুবেল মাহমুদ সুমন ঈদের ছুটিতে বাড়ি আসে। ওই দিন দুপুর ২ টায় কালাপাহাড়িয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম স্বপনের নেতৃত্বে প্রায় অর্ধশত জন সশস্ত্র সন্ত্রাসী রূপ মিয়া মেম্বারের বাড়ি ঘেরাও করে হামলা চালায়।ওই সময় ইউপি চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম স্বপন তার পিস্তল দিয়ে রূপ মি য়া মেম্বারের ছেলে পুলিশ কনস্টেবল রুবেল মাহমুদ সুমনের মাথার পিছন দিয়ে গুলি করে। সঙ্গে সঙ্গে রুবেল মাটিতে লুটিয়ে পড়লে সন্ত্রাসীরা তাকে এলোপাথারী ভাবে কুপিয়ে ও টেটা বল্লম দিয়ে আঘাত করে। পরিবারের সদস্যরা তাকে বাঁচাতে এগিয়ে আসলে তাদেরকেও দা, টেটা, বল্লমসহ দেশিয় অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে মূমূর্ষ অবস্থায় ফেলে রাখে। পরে হামলাকারীরা বাড়ীঘর ভাংচুর করে ঘরে রক্ষিত স্বর্ণালংকারসহ ৫ লক্ষ টাকার মালামাল লুট করে নিয়ে যায়। আশেপাশের লোকজন পুলিশ কনস্টেবল রুবেলকে উদ্ধার করে প্রথমে সোনারগাঁও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। কিন্তু ডাক্তার কোন মন্তব্য না করেই তাকে  ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করে। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষনা করে।এ ঘটনায় টেটা বিদ্ধ সহ আহত হন -খোকন, হাচিমুন বেগম, জামির, রূপ মিয়া মেম্বার,ইসমাইল, আলমগীর সহ অন্তত ২০জন। ঘটনার পর নারায়ণগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ( অপরাধ) মতিয়ার রহমানের নেতৃত্বে বিপুল সংখ্যক পুলিশ সদস্য সহ থানা ও ফাঁড়ি পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনেন।

এ ব্যাপারে আড়াইহাজর থানায় ৩২ জনের নাম উল্লেখ করে এবং ২০-২৫ জনকে অজ্ঞাত আসামী করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। কিন্তু মামলা হবার পর পুলিশ মন্নান ও এবায়দুল নামে সন্দেহ ভাজন দুজনকে গ্রেফতার করলেও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এস আই আজহার তালিকা ভুক্ত কোন আসামীকে গ্রেফতার করতে পারেন নি। অপর দিকে প্রতি পক্ষরা নিহত রুবেলের শোকার্ত পিতা রুপমিয়া মেম্বারকে সহ প্রায় অর্ধশত লোককে আসামী করে দুটি লুটপাটের মামলা দিয়েছে।এ দিকে হত্যা মামলার প্রধান আসামী সাইফুল ইসলাম স্বপন কে গ্রেফতার না করায় এলাকায় দু দুবার ঝাড়– মিছিল করেছে উত্তেজিত নতা।

এ ব্যাপারে নারায়ণগঞ্জ ডিবির ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা  মাহবুবুর রহমান বলেন, মামলাটি ডিবিতে হস্তান্তরের অর্ডার হয়েছে। কিন্তু কাগজ পত্র এখনো হাতে পাইনি। কাগজ পত্র পেলে দ্রুত ব্যবস্থা নিব।

স্পন্সরেড আর্টিকেলঃ